সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
Riya Patra | ২৪ জানুয়ারী ২০২৫ ১৮ : ০২Riya Patra
রিয়া পাত্র
শহর- শহরতলি, মফঃস্বল, যে কোনও এক জায়গায় গিয়ে, তার যে কোনও এক প্রান্তে দাঁড়ান। দেখবেন পুরনো বাড়ি ভেঙে, পুকুর বুঝিয়ে, ফাঁকা জমিতে হয় গড়ে উঠেছে নতুন ফ্ল্যাট, কিংবা গড়ে উঠছে। আর একটু খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন, সেসব ফ্ল্যাট তৈরি হওয়ার আগেই, অগ্রিম টাকা দিয়ে ফেলেছেন ক্রেতারা, একটুকরো বসতবাড়ি কেনার জন্য। শখের বসতবাড়ির জন্য, বহু মধ্যবিত্তের প্রায় সারাজীবনের সঞ্চয় শেষের মুখে পৌঁছে যায়। কিন্তু তারপর? তারপর একে একে প্রকাশ্যে আসে বাঘাযতীন, কামারহাটি, ট্যাংরা, বাগুইআটির ঘটনা। একে একে সামনে আসে হেলে যাওয়া ফ্ল্যাটবাড়ির ছবি। একদিকে আতঙ্ক, একদিকে প্রশ্ন। ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে যায় কেন? খামতি কোথায়? সাধারণ মানুষ কীভাবে কেনার আগে বুঝবেন ফ্ল্যাটের স্বাস্থ্যের বিষয়ে? মাঝখান থেকে রাজনীতির তরজাও ঢুকে পড়ে। কিন্তু এই গোটা বিষয়ে শহরের বিশিষ্ট স্থপতিবিদরা কী বলছেন জানেন?
মণীশ চক্রবর্তী। করজারভেশন আর্কিটেক্ট। শহরের ক্রমবর্ধমান ‘হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়ি’ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার মাঝেই যোগাযোগ করা গেল তাঁর সঙ্গে। স্থপতিবিদ মনে করছেন, আবাসন হেলে পড়া, ভেঙে পড়া, এই ধরনের যে কোনও ঘটনার পিছনে মূলত হয়েছে তাড়াহুড়ো, নিয়ম না মানা। তাঁর বক্তব্য, ‘বহু ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায়, আবাসন তৈরির আগেই ঠিক হয়ে যায় উদ্বোধনের দিনক্ষণ। মূল কথা, তাড়াহুড়ো। তাড়াহুড়োতে যখনই কোনও কাজ হয়, তাতে ফাঁক থেকে যায়। যেনতেন প্রকারে শেষ করতে গিয়ে অনেকক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙা হয়, আইন ভাঙা হয়। আসলে নিয়ম-কানুন, আবাসনের নকশা সবকিছুই তৈরি হয় পরিবেশের, সমাজের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে। কিন্তু এসব ঠিক করে মানা না হলে, ঘটে বড় বিপত্তি। কনস্ট্রাকশনের নিয়ম মেনে কার্যকরী হলে, ঠিকমতো সুপারভিশন হলে এই বিপত্তি ঘটার কথা নয়। এবার ভূমিকম্প, বন্যা সেসব তো আলাদা বিষয়।‘
কিন্তু ক্রেতারা কীভাবে যাচাই করবেন আবাসনের স্বাস্থ্যের বিষয়ে? তাঁর মতে, এই বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য খুব বেশি কাঠ-খড় পোড়াতে হবে না। স্ট্রাকচার স্টেবিলিটি সার্টিফিকেট, জল-আলো সব বিষয়েই স্থানীয় প্রশাসনের ছাড়পত্র ওই আবাসন পেয়েছে কিনা তা দেখতে হবে। এগুলি চাইলেই দেখা যায়। সব ঠিক থাকলে সমস্যা থাকবে না।
স্থপতিবিদ সঞ্জয় মণ্ডলের সাফ বক্তব্য, কোনও আবাসন পাঁচ-সাত বছর পর আচমকা একদিন হেলে পড়ে না। হেলে যায় তৈরির সময়েই বা দু' তিন বছরের মধ্যেই। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে কী বলছেন তিনি?
জানাচ্ছেন, ‘খেয়াল করলেই দেখা যাবে হেলে পড়ে মূলত ছোট বাড়ি। বড় বাড়ি হেলে না। কারণ, কলকাতা বা রাজ্যের পাঁচ তলার বেশি উচ্চতার বাড়ি হলে, তাতে পাইলিং করতেই হয়। বেশকিছু বড় বাড়ি, যেমন থিয়েটার রোডের উপরের গঙ্গা-যমুনা বিল্ডিং হেলে আছে। কারণ তখন বড় বাড়ি পাইলিং করে হতো না সবক্ষেত্রে। যেসব বাড়ির ভার নেওয়ার ক্ষমতা থাকতো না, কেবল সেসব ক্ষেত্রেই পাইলিং হতো। কিন্তু এখন যেসব বাড়ি হেলে পড়ছে, সেগুলি বড় নয়। বাড়ি হেলে যাওয়ার বড় কারণ, মাটির ক্ষমতা। অনেকসময় আবাসনের যে ওজন হয়, মাটি সেই ওজন ধরতে পারে না। তাতে কিছুক্ষেত্রে বিল্ডিং বসে যেতে পারে, কিংবা একদিকে বেশি ভার থাকলে হেলে পড়ে। এই হেলে পড়ার বিষয় সাধারণত ছোট বাড়িতে ঘটে। কারণ, ছোট বাড়িতে ‘সয়েল টেস্ট’ ক্যাজুয়ালি হয়। নিয়ম, দোতলার উপর যে কোনও বাড়ি তৈরি হলে মাটির ক্ষমতা পরীক্ষা করা জরুরি। চার-পাঁচতলার বহু আবাসনে এই পরীক্ষা হয় না। ডেভেলপমেন্ট অথরিটি যেই হোক, পুরসভা, পুরনিগম-তাদের পক্ষে প্রতি বাড়ি তৈরির আগে মাটি ঠিকমতো পরীক্ষা হয়েছিল কিনা জানা সম্ভব হয় না। কে এই পরীক্ষা আদেউ করাল, না করাল না, তা অনেক সময় ছোট আবাসনের ক্ষেত্রে বোঝা যায় না। ফাঁকি দেওয়া সহজ।‘
কিন্তু উপায় কী? ‘প্রথমেই মাটির পরীক্ষা জরুরি। স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারকেও নজর রাখতে হবে আরও বেশি করে। মনে রাখতে হবে, এটা কোনও রাজনীতির বিষয় নয়, এটি সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল বিষয়। পুরসভা কিংবা পুরনিগম শুধু কাঠামো-বিষয়ক তথ্য জমা রাখে, পরীক্ষা করা কাজ নয় তাদের।‘
সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝতে পারবেন বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার আগে? সঞ্জয় মণ্ডল বলছেন, 'বাড়ি আসলে কাজ শেষ হওয়ার এক-দু' বছরের মধ্যেই হেলে যায়। এখন যেসব বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা সামনে আসছে, তা তৈরির সময় থেকেই হেলে ছিল নিশ্চয়। কারণ অধিকাংশ ভার যা পড়ার তখনই পড়েছে। অনেক সময় আবাসন হেলে পড়ার কারণে কম দামে বিক্রি হয়ে থাকে। কমপ্লিশন সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় যদি দেখে নেওয়া যায় তাহলেই এই সমস্যা অনেকটা এড়ানো যায় । তাছাড়া সব বাড়ির স্যাংশান প্ল্যান-এ জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের সই বাধ্যতামূলক হলে এই প্রবণতা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।'
#Architecht#Building Tilt#flatincity#kolkataflatcollapse
বিশেষ খবর
নানান খবর
নানান খবর
কলকাতা বিমানবন্দরে ইম্ফল থেকে আগত যাত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা...
রেড-রোডে তাক লাগাল সেনার 'রোবট কুকুর', জানেন এই সারমেয় সম্পর্কে? ...
অন্য ট্রেনের ধাক্কা! শালিমারের কাছে লাইনচ্যুত তিরুপতি এক্সপ্রেসের একাধিক বগি...
কলকাতা বইমেলার আগে সুখবর, ইস্ট-ওয়েস্ট শাখায় বিশেষ ট্রেন চালাবে কলকাতা মেট্রো, জেনে নিন নতুন সূচি...
সাধারণতন্ত্র দিবসে ফিরবে শীত? জানুন হাওয়া অফিস কী বলছে ...
শীতের মেয়াদ আর কত দিন? হাওয়া অফিস দিল বড় আপডেট...
ঘন কুয়াশার জেরে বাতিল উড়ান, কলকাতা বিমানবন্দরে তুমুল যাত্রী বিক্ষোভ...
সদ্য বাড়িভাড়া নিয়েছিলেন, সেখান থেকেই উদ্ধার তরুণীর গলাকাটা দেহ, রহস্য ঘনাচ্ছে হরিদেবপুরে ...
ট্যাংরা, বাঘাযতীন, আগরপাড়ার পর বাগুইআটির জগৎপুর, হেলে পড়ল দু'টি বাড়ি, আতঙ্কিত বাসিন্দারা...
রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে উদ্ধার যুবকের দেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা...
যন্ত্রের সাহায্যে গর্ভস্থ শিশুর হার্টবিট কীভাবে নিখুঁতভাবে মাপা যায়? প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যা তুলে ধরলেন সিনিয়র চিকিৎসক...
ফের যান্ত্রিক ত্রুটি! একাধিক মেট্রো বাতিলের অভিযোগ যাত্রীদের, দমদমে হইচই...
এবার ট্যাংরায় হেলে পড়ল বহুতল! নিয়মের তোয়াক্কা না করেই তৈরি হচ্ছিল, অভিযোগ স্থানীয়দের...
পেরিয়ে গেল বৌবাজার, শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত সফল ট্রায়াল রান মেট্রোর...
গড়িয়ায় মুহূর্তে বড় বিপদ, বেপরোয়া ম্যাটাডোর ধাক্কা মারল যাত্রীবাহী অটোতে, কেমন আছেন যাত্রীরা? ...
আরজিকর কাণ্ডে নয়া মোড়, সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার...
সাতসকালে রক্তাক্ত যাদবপুর, বাসের ধাক্কায় মৃত চার বছরের শিশুর মা, তছনছ গোটা পরিবার...